রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে নলজুর হোল্ডিংস কর্পোরেশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন  সচিবালয়ে আগুন মামুলি বিষয় না, কঠোর তদন্ত করতে হবে: জুনায়েদ সাকি জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব কর্তৃক বিশিষ্ট গবেষক ও সাংবাদিক সায়েক এম রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান  অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার বিগ্রেডের গাড়ী না যাওয়ায় ক্ষোভ,জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে ঢাকার চিঠি; পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দীর্ঘ বঞ্চনার পর পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন জগন্নাথপুরের কৃতী সন্তান সামী  উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই শান্তিগঞ্জে হচ্ছে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, জনমনে আশার আলো সুনামগঞ্জে আইডিয়া ‘বিএইচএ’ প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত 

জগন্নাথপুরে যুদ্ধাহতদের সরকারি স্বীকৃতির দাবি

জগন্নাথপুরে যুদ্ধাহতদের সরকারি স্বীকৃতির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবসের সভায় যুদ্ধাহতদের সরকারি স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। এ দাবিকে সামনে রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর রোববার রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। এছাড়া শহীদদের কবর জিয়ারত, দোয়া কামনা, মিলাদ মাহফিল, কোরআন খানি ও শহীদদের স্বরণে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম নিজামীর সভাপতিত্বে ও শহীদ-গাজী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আকমলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালী। বক্তব্য রাখেন শহীদ আবদুল মজিদের ছেলে বাচ্চু মিয়া, মাস্টার আবদুল মালিক, আকরাম হোসেন প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালী সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং ১৯৭১ সালে দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক যুদ্ধাহতদের সরকারি ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান। এর আগে শহীদ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন কালে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য-১৯৭১ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাণীগঞ্জ বাজারে শান্তি কমিটির আহবানে স্থানীয় রাজাকারদের দিয়ে শান্তি কমিটির আহবানে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনতাকে ডেকে এনে গুলি করে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক বাহিনী। এ সময় ৪২ জন শহীদ হন এবং আকল মিয়া, মজমিল মিয়া, হাজী তফজ্জুল হোসেন, ক্বারী এখলাছুর রহমান, ওয়াহিদ মিয়া ও বিনোদ রায় সহ ৬ সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। তবে দেশ স্বাধীনের পর থেকে এসব শহীদদের স্বরণে রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ স্মৃতি সৌধ নির্মাণ হলেও কোন স্মৃতি সংসদ নামের কমিটি গঠন হয়নি। প্রতি বছর বিচ্ছিন্ন ভাবে ও শহীদ-গাজী পরিবারের উদ্যোগে রাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবস পালন হয়ে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com